সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বন্যার পর আবহাওয়া কয় বছর ঠান্ডা থাকে?

 বন্যার পর আবহাওয়া কয় বছর ঠান্ডা থাকে—এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে প্রেক্ষাপট ও ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর। সাধারণত বন্যা নিজেই দীর্ঘমেয়াদি ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণ হয় না। তবে কিছু পরিস্থিতিতে এর প্রভাব পরোক্ষভাবে দেখা যেতে পারে:


1. **স্বল্পমেয়াদি প্রভাব (কয়েক দিন থেকে সপ্তাহ):**  

   - বন্যার সময় মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, বৃষ্টিপাত, এবং আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়ভাবে তাপমাত্রা সাময়িকভাবে কমতে পারে।  

   - জলাবদ্ধ মাটি ও বাষ্পীভবনের কারণে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কম অনুভূত হতে পারে।


2. **জলবায়ু চক্রের প্রভাব (যেমন লা নিনা):**  

   - কোনো কোনো ক্ষেত্রে বন্যা "লা নিনা" বা অন্যান্য জলবায়ু চক্রের অংশ হতে পারে, যা নির্দিষ্ট অঞ্চলে ১-২ বছর ঠান্ডা ও আর্দ্র আবহাওয়া তৈরি করতে পারে। তবে এটি বন্যার **কারণ** নয়, বরং একই জলবায়ু পরিস্থিতির ফলাফল।


3. **বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ (যেমন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত):**  

   - বন্যার সাথে সরাসরি সম্পর্ক নেই, তবে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বা বিশাল ভূমিধসের ফলে সৃষ্ট বন্যা পরোক্ষভাবে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে সলফার ডাইঅক্সাইড ছড়িয়ে **২-৩ বছর** বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা কমাতে পারে (যেমন ১৮১৫ সালের তামবোরা অগ্ন্যুৎপাতের পর "বিনা গ্রীষ্মের বছর")।


4. **পরিবেশগত পরিবর্তন:**  

   - বন্যা পরবর্তী সময়ে গাছপালা ধ্বংস হলে বা কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হলে স্থানীয়ভাবে মাইক্রোক্লাইমেট পরিবর্তন হতে পারে, তবে তা সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী (বছরের পর বছর) হয় না।


**সরল উত্তর:**  

বন্যা সরাসরি কয়েক বছর ধরে ঠান্ডা আবহাওয়া তৈরি করে না। স্বল্পমেয়াদে (কয়েক সপ্তাহ) স্থানীয় তাপমাত্রা কমলেও দীর্ঘমেয়াদি ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য অন্যান্য প্রাকৃতিক বা জলবায়ুগত কারণ দায়ী। কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা (যেমন লা নিনা বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত) থাকলে তার প্রভাব আলাদাভাবে বিবেচনা করতে হবে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ব্যঞ্জনবর্ণ।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। ব্যঞ্জনবর্ণ। বাংলায় ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি। ক      খ      গ      ঘ      ঙ      চ      ছ      জ      ঝ      ঞ      ট      ঠ      ড      ঢ       ণ      ত      থ      দ      ধ       ন      প       ফ      ব        ভ        ম       য        র      ল      শ      ষ      স      হ      ড়      ঢ়      য়      ৎ       ং       ঃ        ঁ।

স্বর বর্ণ।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। স্বর বর্ণ। বাংলায় স্বর বর্ণ ১১ টি। অ      আ      ই      ঈ      উ      ঊ      ঋ      এ      ঐ      ও      ঔ।

এক থেকে একশত পর্যন্ত বানান।

  বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম এক থেকে একশত পর্যন্ত বানান। ১=  এক । ২=  দুই। ৩=  তিন। ৪=  চার। ৫=  পাঁচ। ৬=  ছয়। ৭=  সাত। ৮=  আট। ৯=  নয়। ১০= দশ। ১১= এগারো। ১২= বারো। ১৩= তেরো। ১৪ = চৌদ্দ। ১৫= পনেরো। ১৬= ষোল। ১৭= সতেরো। ১৮= আঠারো। ১৯= ঊনিশ। ২০=  বিশ। ২১= একুশ। ২২= বাইশ। ২৩= তেইশ। ২৪= চব্বিশ। ২৫= পঁচিশ। ২৬= ছাব্বিশ। ২৭= সাতাশ। ২৮= আটাশ। ২৯= ঊনত্রিশ। ৩০= ত্রিশ। ৩১= একত্রিশ। ৩২= বত্রিশ। ৩৩= তেত্রিশ। ৩৪= চৌত্রিশ। ৩৫= পঁয়ত্রিশ। ৩৬= ছত্রিশ। ৩৭= সাতত্রিশ। ৩৮= আটত্রিশ। ৩৯= ঊনচল্লিশ। ৪০= চল্লিশ। ৪১= একচল্লিশ। ৪২= বিয়াল্লিশ। ৪৩= তেতাল্লিশ। ৪৪= চুয়াল্লিশ। ৪৫= পঁয়তাল্লিশ। ৪৬= ছিচল্লিশ। ৪৭= সাতচল্লিশ। ৪৮= আটচল্লিশ। ৪৯= ঊনপঞ্চাশ। ৫০= পঞ্চাশ। ৫১= একান্ন। ৫২= বাহান্ন। ৫৩= তিপ্পান্ন। ৫৪= চুয়ান্ন। ৫৫= পঞ্চান্ন। ৫৬= ছাপ্পান্ন। ৫৭= সাতান্ন। ৫৮= আটান্ন। ৫৯= ঊনষাট। ৬০= ষাট। ৬১= একষট্টি। ৬২= বাষট্টি। ৬৩= তেষট্টি। ৬৪= চৌষট্টি। ৬৫= পঁয়ষট্টি। ৬৬= ছিষট্টি। ৬৭= সাতষট্টি। ৬৮= আটষট্টি। ৬৯= ঊনসত্তর। ৭০= সত্তর। ৭১= একাত্তর। ৭২= বাহাত্তর। ৭৩= তিয়াত্তর। ৭৪= চুয়াত্তর...